দলের সকল সদস্যরা মিলে একজন সভাপতি,একজন সেক্রেটারী ও একজন ক্যাশিয়ার নির্বাচিত করবেন। তাদের দায়িত্বকাল হবে দুই বছর। একই সদস্যকে একাধারে দুই বারের বেশী একই পদে নির্বাচিত না করাই শ্রেয়। সমিতির সকল সদস্য উপস্থিতিতে কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন হলে এ বিষয়ে রেজুলেশন খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে।
দলের নিয়মাবলী :
- প্রত্যেক সদস্য সপ্তাহের কোন নির্দিষ্ট দিনে,সময়ে এবং নির্ধারিত জায়গায় উপস্থিত থাকতে হবে।উক্ত সাপ্তাহিক সভায় সকল সদস্যদের উপস্থিত বাধ্যতা মূলক। সাপ্তাহিক সভার স্থান অবশ্যই অধিকাংশ সদস্যর সুবিধাজনক স্থানে নির্ধারন করতে হবে।
- সকলে সমবেত হলে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে সাপ্তাহিক সভা শুরু হবে। সভা পরিচালনা করবেন দলের সভাপতি এবং তাকে সহযোগতিা করবেন সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মীকে।
- সাধারনত দলের রেজুলেশন খাতা ও দলীয় পাশবই থাকবে সেক্রেটারীর নিকট ।তিনি সাপ্তাহিক কিস্তি টাকা আদায়ে ক্ষেত্রে ক্যাশিয়ারকে সার্ভিক সহায়তা করবেন। প্রত্যেক সদস্য সাপ্তাহিক রেজুলেশন খাতায় যথা রীতি স্বাক্ষর করবেন। পরবর্তীতে এন্ট্রি দিয়ে মাঠকর্মী সাপ্তাহিক সঞ্চয় ও ঋণ উত্তোলন করে প্রথমে কালেকশন সীটে এবং সদস্যদের স্ব-স্ব পাশ বহিতে এন্ট্রি দিয়ে আদায়কারীর ঘরে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রত্যেক সদস্য তার পাশ বহিতে এন্ট্রি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন।
- এপর শুরু হবে আজকের উদ্ধুদ্ধকরণ বিষয়ের উপর আলোচনা এবং সদস্যদের প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেয়া,আর এভাবেই শেষ হবে একটি দলের একটি সাপ্তাহিক সভা। কোন ক্রমেই ১.০০ ঘন্টার বেশী স্থায়ী হবে না
- মাঠ কর্মী পাশবই এন্ট্রি দেওয়ার পর সকল সদস্যগণ পাশ বই সমিতিতে না রেখে অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। সদস্যর নিকট হতে পাশ বই হারিয়ে গেলে এ ক্ষেত্রে মাঠকর্মী দায়ী করতে পারবেন না।
- সাপ্তাহিক সভায় দলের সকল বিষয়ে আলোচনা হবে, যেমন: কে কে ঋণ গ্রহণ করবে,কত টাকা ঋণ গ্রহণ করবে,কি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ঋণ ব্যয় হবে,এই ব্যাপারে তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে কিনা।
- কোন সদস্য সমস্যার কারনে সাপ্তাহিক সভাতে উপস্থিত না থাকতে পারলে তিনি পুর্বেই সভাপতি বা সম্পাদকের নিকট তার সঞ্চয় এবং ঋণ কিস্তি জমা দিয়ে যেতে পারবেন। তবে এটা যেন সদস্যদের অভ্যাসের পরিণত না হয়,তার উপর খেয়াল রাখতে হবে।